আপনি হয়তো একটি নতুন এনড্রয়েড ফোন কিনে ফেলেছেন। কিন্তু ফোনটির মজা উপভোগ করতে যেয়ে খেয়াল করলেন যে ব্যাটারী অতি দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই কি? ভয় পাবেন না, এটাই সাধারণ ব্যাপার। এনড্রয়েড এর অ্যাপ্লিকেশনগুলো এতই আকর্ষণীয় যে সারাদিন ঘাটতে ইচ্ছা করে। যার কারনে ব্যটারী চার্জ খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে আসে। এর থেকে বের হয়ে আসাও খুব সহজ ব্যাপার। কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলেই চলে। তাহলে চলুন দেখি বিষয় গুলো কি কি?
ব্যাটারী ইউস্ অপশন এ খেয়াল করলে আপনি দেখতে পাবেন ফোন এর কোন কাজের জন্য কতটুকু চার্জ যাচ্ছে। চলে যান Settings -> About Phone -> Battery Use আর জেনে নিন কিসের জন্য শতকরা কত চার্জ যাচ্ছে।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে ডিসপ্লের ব্রাইটনেস বেশি থাকলে চার্জ অনেক দ্রুত শেষ হয়। তাই ব্রাইটনেস যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। Settings -> Display -> Brightness
ডিসেবল করে রাখুন ওয়াইফাই সংযোগ
অব্যাবহিত অবস্থায় ব্লুটুথটিও ডিসেবল করে রাখুন
ডিসেবল আথবা আনইন্সটল করুন অব্যবহিত অ্যাপলিকেশন গুলো
ডিসেবল অথবা কমিয়ে ফেলুন করুন হোম স্ক্রিন Widgets
এনিমেটেড ওয়ালপেপার অ্যাপ্লাই করবেন না
ব্যবহার করুন ভাল একটি টাস্ক ম্যানেজার
আটোমেটিক Sync বন্ধ করে রাখুন
ডিসেবল করে দিন জিপিএস লোকেশান সুবিধাটি
যদি প্রতিদিন ব্যাটারী চার্জ না দিতে চান তাহলে উপরের বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। আর যদি সবসময় এনড্রয়েড এর মজা পুরোপুরি নিতে চান তাহলে দৈনিক চার্জ দেয়ার প্রস্তুতি নিন। আমি কিন্তু প্রতিদিনই চার্জ দেই।
লক্ষ্য রাখুন ফোনের ব্যটারী ইউসেজ্ এর দিকে
কমিয়ে নিন ফোনের ডিসপ্লে ব্রাইটনেস
ডিসেবল করে রাখুন ওয়াইফাই সংযোগ
ব্যাবহার না করলে ওয়াইফাই সংযোগটি ডিসেবল করে রাখা উচিত। অন করা থাকলে ফোনটি সবসময় নেটওয়ার্ক স্ক্যান করতে থাকে। যে কারনে ব্যাটারীর অনেক চার্জ চলে যায়। Settings -> Wireless and Network Settings -> WiFi Settings
যদি আপনি ব্লুটুথ হেডসেট বা ডিভাইস ব্যাবহার না করেন তাহলে ব্লুটুথ অন রেখে তো কন লাভ নেই, তাইনা? তাই কিছু চার্জ ধরে রাখতে ব্লুটুথ অপশনটি ডিসেবল করে রাখুন। Settings -> Wireless and Network Settings -> Blutooth Settings
ডিসেবল আথবা আনইন্সটল করুন অব্যবহিত অ্যাপলিকেশন গুলো
যেসব অ্যাপলিকেশন আপনি একদমই ব্যবহার করেন না, সেগুলো আনইন্সটল করে ফেলুন। কেননা এগুলো ব্যাকগ্রাউন্ড এ কাজ করে ব্যাটারীর চার্জ নষ্ট করতে পারে। এসব অ্যাপলিকেশন খুজে বের করতে কোন Task Manage ব্যবহার করতে পারেন।
ডিসেবল অথবা কমিয়ে ফেলুন করুন হোম স্ক্রিন Widgets
হোম স্ক্রিন উইজেটস্ গুলো অনেক সময়ই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আপডেট হয়। যেমনঃ ইউটিউব, নিউজ, আবহাওয়া বিষয়ক উইজেটস্ গুলো।
এনিমেটেড ওয়ালপেপার অ্যাপ্লাই করবেন না
খুব দরকার না হলে এনিমেটেড ওয়ালপেপার ব্যবহার না করাই ভাল। এতে কিছুটা হলেও চার্জ বাচবে।
ব্যবহার করুন ভাল একটি টাস্ক ম্যানেজার
আপনার মোবাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড এ কি কি কাজ করছে তা জানতে এবং অপ্রয়োজনীয় কাজ বন্ধ করতে একটি টাস্ক ম্যানেজার ব্যবহার করা উচিত। এটির সাহায্যে সিপিইউ ইউসেজ ও ব্যাটারীতে কতটুকু চার্জ আছে তা জানা যায়।
আটোমেটিক Sync বন্ধ করে রাখুন
অটোমেটিক Sync বন্ধ করে রাখতে হবে। জিমেইল, ফেইসবুক, টুইটার ইত্যাদি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নিজে নিজেই আপডেট হতে থাকে। যাতে করে ব্যাটারীর লাইফ এর বারোটা বেজে যায়। এটা বন্ধ করে দিয়ে ম্যানুয়ালি Sync করাই ভাল। তাহলে বেশ চার্জ বেচে যায়। আনচেক করুন Auto sync।
ডিসেবল করে দিন জিপিএস লোকেশান সুবিধাটি
জিপিএস সংক্রান্ত কোন কাজ না করলে এটি বন্ধ রাখতে পারেন। কিন্তু নেভিগেশান, গুগল ম্যাপস্, মাই ট্র্যাকস্ ইত্যদি ব্যবহার করার সময় আবার চালু করে নিতে হবে।
যদি প্রতিদিন ব্যাটারী চার্জ না দিতে চান তাহলে উপরের বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। আর যদি সবসময় এনড্রয়েড এর মজা পুরোপুরি নিতে চান তাহলে দৈনিক চার্জ দেয়ার প্রস্তুতি নিন। আমি কিন্তু প্রতিদিনই চার্জ দেই।
এক্সট্রা সতর্কতাঃ ব্যাটারী কখনও বেশি গরম হতে দেবেন না। এতে করে চার্জ অনেক তাড়াতাড়ি চলে যায়। ফোন কখনো সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে রাখবেন না।
যে কোন সমস্যায় পরলে বা কোন কিছু জানতে হলে কমেন্ট দিয়ে জানান।
Post a Comment